রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন

দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ ‍॥ সিনেমার হাসি চলে যাওয়ার ১৭ বছর

দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ ‍॥ সিনেমার হাসি চলে যাওয়ার ১৭ বছর

স্বদেশ ডেস্ক:

ঢাকাই ছবির কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদার। ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ চলচ্চিত্র দিয়ে। তিনি ছিলেন কৌতুক অভিনয়ের জাদুকর। তার মৃত্যুর পর সিনেমা থেকে হাসিই যেন চলে গেছে। তবে এ অভিনেতা রয়ে গেছেন মানুষের হৃদয়ে। থাকবেন অনন্তকাল। ২০০৩ সালের আজকের দিনে সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। দিলদারহীন ১৭ বছর পার করছে চলচ্চিত্রাঙ্গন। তার উত্তরসূরি হিসেবে কাউকে চোখে পড়েনি এ অঙ্গনে। দিলদার অভিনীত চলচ্চিত্র এখনো প্রচার হয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। তার মতো কেউ আর দর্শক হাসাতে পারেন না।

দিলদার চলে গেলেও তার জনপ্রিয়তা কমেনি এতটুকুও। এখনো তিনি বাংলা ছবির ‘কমেডি কিং’ হিসেবেই দর্শকদের হৃদয়ে রয়েছেন। দিলদার না থাকলেও আছে তার পরিবার। ৫৮ বছর বয়সে চলে যাওয়ার সময় তিনি রেখে যান স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং দুই কন্যাসন্তান মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজকে।

দিলদার দিল দরিয়া ছিলেন বলে মন্তব্য তার দুই মেয়ের। চলচ্চিত্রের মানুষের যে কোনো বিপদ-আপদে সবার পাশে দাঁড়াতেন। তাই চলচ্চিত্র থেকে প্রাপ্ত অর্থ সেই জায়গাতেই তার ব্যয় হয়ে যেত বেশি। ‘বাবা জীবিত অবস্থায় আমার মা একটা বুদ্ধির কাজ করেছিলেন, যার ফল আমরা এখন ভোগ করছি। বাবা যা আয় করতেন, ওখান থেকে টাকা জমিয়ে সারুলিয়ায় (ডেমরা) একটা পাঁচতলা বাড়ি করেছেন। ওই বাড়িটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৯৪ সালে। এখন চারতলা পর্যন্ত ভাড়া দেওয়া এবং পাঁচতলায় আমার মা মাঝেমধ্যে থাকেন। এ ছাড়া তিনি চাঁদপুর ও ঢাকায় আমাদের দুই বোনের কাছেও থাকেন। আল্লাহর রহমতে আম্মার শরীর ভালো আছে।’ কথাগুলো বলেন দিলদারের দুই মেয়ে।

পাঁচ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন দিলদার। অথচ এখন তার খোঁজখবর নেন না চলচ্চিত্রের কোনো মানুষ। জন্মদিন ও মৃত্যুবার্ষিকী কোনো প্রকার স্মরণ ছাড়াই চলে যায়। জিনিয়া বলেন, ‘আব্বা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরও অনেকেই খোঁজখবর রাখতেন। কিন্তু এখন মিডিয়ার কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই আমাদের।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877